Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ভাষা ও সংষ্কৃতি

কয়েক হাজার বছর পূর্বে বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় মোহনা বাঁশখালীতে জনবসতি গড়ে উঠে। ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে নিত্য সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হলেও দিনে দিনে সমৃদ্ধ হয়েছে এ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। বাঁশখালীর গ্রামীণ জনপদের  লোকজ আচার অনুষ্ঠানই বাঁশখালীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করে। বাউল, ভাটিয়ালী, ভাওয়াইয়া, জারি, সারি, মুর্শেদি, কীর্তন, পালা, বারমাসীসহ বিভিন্ন  আঞ্চলিক গান, বচন, ধাঁধাঁ, ছড়া, পুঁথি,উপকথা, রূপকথা এ সবকিছুই এ অঞ্চলের সাহিত্য ও সংস্কৃতির নিদর্শন। বাঁশখালীর মানুষ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাতেই কথা বলে। আঞ্চলিক ভাষায় রচিত কিছু গান সারা দেশেই বিখ্যাত। এর মধ্যে উল্লেখ্য

‌‌            ওরে সাম্পানওয়ালা, তুই মোরে করলি দেওয়ানা

             অথবা

            বাঁশখালী-মঈশখালী, পাল উড়াইয়া দিলে সাম্পান গুরগরই চলে

বাঁশখালীর পুরুষ/ছেলেরা মূলতঃ লুঙ্গি-কোর্তা মেয়েরা মূলতঃ শাড়ী বা সেলোয়ার-কামিজ পড়ে। আতপ চালের ভাত  এবং  সবজি প্রধান খাবার। খেলাধূলার ক্ষেত্রে দাড়িয়াবান্ধা, হাডুডু, কাবাডি ও গোল্লাছুট উঠে গিয়ে ফুটবল, ক্রিকেট ও  বেডমিন্টন সে স্থান দখল করলেও নৌকা বাইচের প্রচলন এখনও আছে।